ঢাকায় কমার্শিয়াল বিল্ডিং ভাড়া | আপনি কি সঠিক ভাড়াটিয়ার সন্ধানে?

ঢাকায় আপনার একটি পূর্ণাঙ্গ কমার্শিয়াল বা ইনডিপেনডেন্ট বিল্ডিং আছে? সেটা কি বর্তমানে খালি পড়ে আছে? রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ছে কিন্তু আয় আসছে না? আপনি যদি একজন দীর্ঘমেয়াদি, সময়মতো ভাড়া প্রদানকারী ও দায়িত্বশীল ভাড়াটিয়ার খোঁজ করছেন—তাহলে আপনার জন্য এখনই সঠিক সময়।

আমরা একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান, যারা ঢাকার অভিজাত ও বাণিজ্যিক এলাকায় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া নিতে আগ্রহী, শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির ভিত্তিতে। আপনার সম্পত্তির সুরক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কেন আপনার বিল্ডিং ভাড়া দেওয়া লাভজনক সিদ্ধান্ত?

বর্তমানে আমরা, একটি নির্ভরযোগ্য ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে—যেমন উত্তরা, গুলশান, বনানী, বাড্ডা এবং বসুন্ধরা—একটি সম্পূর্ণ ইনডিপেনডেন্ট, ৬ থেকে ১০ তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে ভাড়া নিতে আগ্রহী।

আমরা শুধুমাত্র ভবন ভাড়াই নিতে চাই না—আমরা চাই ভবনটির সম্পূর্ণ ব্যবহারিক সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে, ভবনের মর্যাদা বজায় রেখে একটি পেশাদার অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে। আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা রয়েছে, যেগুলো ভবন মালিকদের জন্যও লাভজনক ও নিশ্চিন্ত হবে:

• দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি: আমরা ৫ থেকে ১০ বছরের স্থায়ী লিজে আগ্রহী, যাতে উভয় পক্ষই দীর্ঘ সময় নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।
• নিয়মিত ও সময়মতো ভাড়া পরিশোধ: আমাদের ফাইন্যান্স টিম থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ভাড়ার লেনদেন সম্পন্ন হয়, কোনো ঝামেলা বা বিলম্ব ছাড়াই।
• সম্পূর্ণ খালি ও ইনডিপেনডেন্ট ভবন ব্যবহারের সুযোগ: ভবনটি কেবল আমাদের একক ব্যবহারে থাকবে, এতে মালিকের জন্য নিয়ন্ত্রণ সহজ এবং ভবনের মান অক্ষুণ্ণ থাকবে।
• সম্পত্তির নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের নিশ্চয়তা: আমরা ভবনের সার্বিক নিরাপত্তা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করি।

আমাদের প্রতিষ্ঠান ভবনটিকে শুধুমাত্র একটি অফিস স্পেস হিসেবে দেখে না—আমরা সেটিকে আমাদের কর্মপরিবেশের অংশ মনে করি। তাই ভবনের যত্ন ও সম্মান আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

ভাড়া নেওয়ার জন্য আমরা কী ধরনের ভবন খুঁজছি?

আমরা খুঁজছি এমন একটি সম্পূর্ণ ইনডিপেনডেন্ট বাণিজ্যিক ভবন, যা আমাদের কর্পোরেট কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত, নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য। ভবনের মালিকগণ নিচের চাহিদাগুলোর সাথে মিলিয়ে সহজেই বুঝতে পারবেন তারা আমাদের প্রস্তাবের জন্য উপযুক্ত কিনা।

কাঙ্ক্ষিত ভবনের বৈশিষ্ট্য:

• স্বাধীন ও একক ব্যবহারের উপযোগী ভবন:
  অন্য কারো সাথে শেয়ার না করে ভবনটি একমাত্র আমাদের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় থাকবে পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা।
• ৬ থেকে ১০ তলা পর্যন্ত ভবন:
  ভবনটি হতে হবে মধ্যম থেকে উচ্চমাত্রার, যাতে আমাদের বিভিন্ন বিভাগ একসাথে কার্যক্রম চালাতে পারে।
• আধুনিক সুযোগ-সুবিধা:
  • মানসম্মত এলিভেটর
  • পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং
  • ২৪/৭ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  • পানি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ
  • ফায়ার সেফটি এবং জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা
• সম্পূর্ণ খালি ও ব্যবহারযোগ্য অবস্থা:
  ভবনটি খালি ও হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যেন আমরা দ্রুত সেটআপ শুরু করতে পারি এবং আমাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী সাজাতে পারি।
• দীর্ঘমেয়াদী ভাড়ার চুক্তি:
  আমরা কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ বছরের একটি স্থায়ী চুক্তি করতে আগ্রহী, যাতে ভবন মালিকও নিশ্চিত আয়ের নিশ্চয়তা পান।

যে এলাকাগুলোতে আমরা ভবন ভাড়া নিতে আগ্রহী

আমরা একটি বিশ্বস্ত ও পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমন সব এলাকায় ভবন ভাড়া নিতে আগ্রহী, যেগুলো বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুবিধাজনক, নিরাপদ এবং সম্ভাবনাময়। আমাদের টার্গেট এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, কর্পোরেট পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে।

 আমরা যেসব এলাকায় ভবন খুঁজছি:

• উত্তরা
• গুলশান
• বনানী
• বাড্ডা
• বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা

আমরা কেন ভবন ভাড়া নিতে চাই?

আমাদের ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে, এবং একটি নির্ভরযোগ্য, দীর্ঘমেয়াদি স্থানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এখন সময়ের দাবি। তাই আমরা এমন ভবন খুঁজছি যেখানে:

• আমাদের টিম আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারে
• ক্লায়েন্ট ও ব্যবসায়িক পার্টনাররা সহজে পৌঁছাতে পারে
• ভবিষ্যতে কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা যায়

আমরা চাই ভবনের মালিক ও আমাদের মাঝে একটি পেশাদার, বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ সম্পর্ক তৈরি হোক — যাতে উভয়পক্ষ লাভবান হয়।

ভাড়া নেওয়ার জন্য আমরা যে প্রক্রিয়া উনুসরণ করি 

আমাদের ভবন ভাড়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত পেশাদার, স্বচ্ছ ও ধাপে ধাপে পরিকল্পিত। আমরা চাই উভয় পক্ষ আমরা এবং ভবন মালিক একটি সুস্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তুলুক।

১. প্রাথমিক যাচাই

• মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভবনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ
• স্পেস, ফ্লোর সংখ্যা, ফ্যাসিলিটিজ ও নির্মাণের অবস্থা যাচাই
• ভবন পরিদর্শনের জন্য সময় নির্ধারণ

২. চাহিদা ও শর্তাবলি মিলিয়ে দেখা

• ভবনের অবকাঠামো আমাদের চাহিদা অনুযায়ী কিনা তা যাচাই
• মালিকপক্ষের শর্তাবলি, ভাড়া, অগ্রিম ও চুক্তির মেয়াদ নিয়ে আলোচনা

৩. আলোচনার মাধ্যমে সম্মতি

• দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শেষে মূল চুক্তির কাঠামো নির্ধারণ
• পারস্পরিক সুবিধা ও দায়িত্ব নির্ধারিত হয়

৪. আইনি চুক্তি সম্পাদন

• আইনগতভাবে বৈধ একটি লিজ এগ্রিমেন্ট প্রস্তুত করা হয়
• উভয় পক্ষ আইনগত দিক বিবেচনায় স্বাক্ষর করে
• প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিল হস্তান্তর

৫. অর্থনৈতিক লেনদেন ও হস্তান্তর

• নির্ধারিত অগ্রিম ও প্রথম মাসের ভাড়া প্রদান
• ভবন হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন
• বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, সিকিউরিটি ইত্যাদি হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয় পরিষ্কার করা হয়

৬. ব্যবহার পূর্ব প্রস্তুতি

• অফিস সেটআপ, ফার্নিশিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন
• কর্মীদের জন্য পরিবেশ বান্ধব ও কার্যকর ওয়ার্কস্পেস তৈরি

চুক্তি ও স্বচ্ছতা নীতিমালা

আমরা বিশ্বাস করি, একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তি হলো পারস্পরিক সম্মান, আইনি স্বচ্ছতা, ও বিশ্বাসযোগ্যতা। ভবন ভাড়া সংক্রান্ত প্রতিটি ধাপেই আমরা মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে স্পষ্টতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমাদের নীতিমালার মূল দিকগুলো হলো:

• চুক্তির পূর্বেই সব শর্তাবলি লিখিতভাবে উপস্থাপন করা হয়:
  ভাড়া, মেয়াদ, পরিশোধের সময়, ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়ম, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইত্যাদি সবকিছু চুক্তিতে স্বচ্ছভাবে উল্লেখ থাকে।
• উভয় পক্ষের স্বাক্ষর ও সম্মতির ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদিত হয়:
  কাগজপত্র শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় — এটি একটি আইনগত সুরক্ষা, যা ভবিষ্যতের যেকোনো জটিলতা বা দ্বন্দ্ব এড়াতে সাহায্য করে।
• চুক্তির সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে নেওয়া হয়:
  মালিক পক্ষ চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সনদ ইত্যাদি যাচাই করতে পারেন।
• মালিক তার নিজস্ব আইনজীবীর মাধ্যমে পরামর্শ নিতে পারেন:
  আমরা এতে উৎসাহই দিই, কারণ এটি উভয় পক্ষের জন্য স্বচ্ছতা ও আস্থার জায়গা তৈরি করে।
• চুক্তির অনুলিপি দুই পক্ষই পায় এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করে:
  এই নথি ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে মেয়াদ শেষ, নবায়ন বা যেকোনো জটিলতায়।
• কোনো গোপন শর্ত বা লুকানো চার্জ নেই:
  আমরা সব তথ্য খোলাখুলি জানিয়ে দিই — যাতে মালিক নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন এবং অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটে।
• চুক্তি শেষে নবায়ন বা সমাপ্তি নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়:
  মেয়াদ শেষে আমরা আগেই জানিয়ে দিই — নতুন চুক্তি হবে কিনা, বা ভবন ফেরত দেওয়া হবে কীভাবে।

কেন আমাদের নির্বাচন করবেন?

আমরা শুধু একটি ভবন ভাড়া নিচ্ছি না, বরং একটি স্থায়ী, বিশ্বাসযোগ্য ও পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে বিশ্বাসী। আমাদের সাথে কাজ করলে আপনি পাবেন:

• নির্ভরযোগ্যতা ও সময়মতো ভাড়া পরিশোধ:
  আমরা সব সময় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভাড়া প্রদান নিশ্চিত করি, যাতে মালিকগণ আর্থিক নিশ্চয়তায় থাকেন।
• পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণে আন্তরিকতা:
  ভবন ও তার পরিবেশের যত্ন নেওয়া আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে ভবনের অবস্থা সর্বোচ্চ মানে রাখা হয়।
• আইনি ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা:
  সমস্ত লেনদেন ও চুক্তি সম্পূর্ণ আইনি এবং স্বচ্ছ, যাতে মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না ঘটে।
• দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা:
  আমরা ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করে পরিকল্পিতভাবে কাজ করি, তাই ভবন মালিকদের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলি।
• সম্পত্তির সুরক্ষায় সর্বোচ্চ যত্ন:
  আমরা আপনার সম্পত্তিকে নিজেদের মতো করে রক্ষা করি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করি, যাতে ভবনের মূল্য ও অবস্থান অক্ষুণ্ণ থাকে।
• দক্ষ ও পেশাদার টিম:
  আমাদের অভিজ্ঞ টিম ভবনের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে দফতর কার্যক্রম পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
• সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ:
  আমরা মালিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি এবং যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করি, যাতে ঝামেলা ও অসুবিধা না হয়।
• টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা:
  আমরা ভবন ব্যবস্থাপনায় পরিবেশগত দিকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি, যেমন জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবস্থা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহার।

যোগাযোগ করুন এখনই

আপনার ভবন যদি আমাদের চাহিদার সাথে মিলে যায়, তাহলে দেরি না করে এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। বিশ্বস্ত কোম্পানি হিসেবে, আমরা আপনার সম্পত্তিকে মূল্য দিই এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বে আগ্রহী।

📞 যোগাযোগ নম্বর: +880 1711-990010, +8801711993377
📧 ইমেইল: info@banglamart.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.banglamart.com